চরিত্রের পদাঙ্ক:
"জীবনের মুকুট এবং গৌরব হল চরিত্র। Ofia মানব জীবনের মুকুট। চরিত্র দ্বারা আমরা শব্দ, কাজ এবং চিন্তাধারায় একটি পবিত্র চিন্তাকে বুঝি। মানুষ সমাজে তাদের চারিত্রিক শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সম্মানিতচরিত্র: মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, কাজে, কথায়, চিন্তায়, উঠতে -বসতে, আচার -আচরণে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্র চিন্তাকে চরিত্র বলে। .বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা ইত্যাদি যা চরিত্রের মাঝখানে প্রকাশ করা হয় তাকে বলা হয় ।চরিত্রের বৈশিষ্ট্য: যে ব্যক্তি সমস্ত হিংসা, বিদ্বেষ, অবিচার, অহংকার এবং অহংকার থেকে মুক্ত তাকে সমাজে দানশীল বলে মনে করা হয়। উত্তম চরিত্রের মানুষ কখনো সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত হয় না, অন্যায় করে। দেবেন না, রাগ করবেন না, কারও সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করবেন না। তিনি সত্যবাদী, বিজয়ী এবং ধর্মপ্রাণ। চরিত্র গঠনের উপায়: পরিবার হল চরিত্র গঠনের প্রধান এবং প্রথম ধাপ। শিশুর চরিত্র সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের স্তর অনুযায়ী গঠিত হয়। চরিত্র গঠনের জন্য পরিবেশ অনেকাংশে দায়ী। তিনি কথায় বলে: 'ধার্মিকদের সাথে স্বর্গ, দুষ্টদের সাথে ধ্বংস।' শাস্তির অপরাধে লেহা আবার ভেসে ওঠে। 'অতএব, যত্ন নেওয়া উচিত যাতে শিশু কুসাংয়ের সাথে মিশে না যায়। চরিত্র সাধনার ধন। এটি দীর্ঘমেয়াদী সাধনা দ্বারা অর্জন করতে হবে। .পরিবারের বাইরের প্রতিবেশী এবং সঙ্গীরা শিশুদের চরিত্র গঠনে সাহায্য করে। স্কুল পাঠের সময় বা সমবয়সীদের সাথে গেম খেলার সময়, চরিত্রটি বিভিন্ন ধরনের প্রভাব অর্জন করে। .এজন্য বাবা -মা বা শিক্ষকদের নজর রাখতে হবে কিভাবে শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের চরিত্র গড়ে তোলা হচ্ছে। চরিত্র গঠনে ধর্মের প্রভাব মানুষকে অসত্য ও অন্যায় থেকে বিরত থাকতে অনুপ্রাণিত করে। মহান মানুষের আদর্শ: পৃথিবীর সব মহান মানুষ যারা সকালে স্মরণীয় হয়ে আছে, তারা সবাই ছিল ক্যারিশম্যাটিক। মহাপুরুষরা তাদের চরিত্রের দ্বারা পৃথিবীতে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে; অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা।) - এর আদর্শ বিশ্বের জন্য অনুকরণীয়। এ ছাড়া Ishশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, হাজী মুহাম্মদ মহসিন, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এবং অন্যান্যরা বিশ্ব ইতিহাসে মহান ব্যক্তিত্ব হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। চরিত্রের মূল্য: বিশ্বের স্মরণীয় মহাপুরুষরা চরিত্রকে মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলেছেন। চরিত্র সব সম্পদের র্ধ্বে। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ সকল জাতির উপাসক। চরিত্রবান মানুষের অদম্য শক্তির মাধ্যমে মানবজাতির মহান কল্যাণ সাধিত হয়। কথায় আছে সম্পদের উপর ধনীদের জোর, এবং চরিত্রের উপর জোর দেওয়া হয় হৃদয়ের উপর। যার চরিত্র আছে, সে মানুষের সেরা। হাদিসে বর্ণিত আছে যে, belieমানদার এমন ব্যক্তি যিনি অসাধারণ চরিত্রের অধিকারী। চরিত্র মানুষকে মানুষের মধ্যে সেরা করে তোলে। চরিত্র মানুষের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ। .শুধুমাত্র ভালো চরিত্রের মানুষই পৃথিবীতে মহান কাজ করতে পারে। তাদের কাজের মাধ্যমে পৃথিবী আজ অনেক সুন্দর হয়েছে। চরিত্রহীনতার কুফল: চরিত্র মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। যার চরিত্র নেই তার কিছুই নেই। .চরিত্রহীন মানুষ পশুর চেয়েও খারাপ। তাকে সবাই ঘৃণা করে। সেই লোকটার নামের কলঙ্ক। মানুষের জীবনে সবকিছু পাওয়া সম্ভব, যদি সে চেষ্টা করে। কিন্তু চরিত্র হারানো মানে সবকিছু হারানো। চরিত্রহীন ব্যক্তির যতই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ থাকুক না কেন, সে কখনোই মানুষের মন জয় করতে পারবে না। সবাই চরিত্রহীনকে ভয় করে এবং ঘৃণা করে। তারা শুধু মানুষের অভিশাপ এবং অপবাদের বস্তু। .তিনি সমাজে অযোগ্য ব্যক্তি হিসেবেও চিহ্নিত। উপসংহার: ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে- 'যখন সম্পদ হারিয়ে যায় কিছুই হারায় না, স্বাস্থ্য নষ্ট হয় কিছু হারিয়ে যায়, কিন্তু যখন চরিত্র হারিয়ে যায় তখন সবকিছু হারিয়ে যায়।' .প্রকৃতপক্ষে, একবার একটি চরিত্র নষ্ট হয়ে গেলে, সমাজে তার কোন মূল্য নেই। মানুষ, তার শিক্ষা, সম্পদ বা চরিত্র যাই হোক না কেন, সে যদি ভালো চরিত্রের না হয়, তাহলে সে কখনোই দেশ ও জাতির উপকার করতে পারে না। চরিত্রহীন মানুষ সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য প্রধানত দায়ী। তাই আমাদের সবাইকে ক্যারিশম্যাটিক হতে হবে .
إرسال تعليق