রচনা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের পরিচিতি

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের 
পরিচিতি: সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামলা, সাইনা দেশ বাংলাদেশ। প্রকৃতি, তার উদার এবং উদার হাত দিয়ে, এই দেশকে অতুলনীয় সৌন্দর্য এবং মাধুর্যে সজ্জিত করেছে, এটিকে জীবন্ত এবং সমৃদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের আইন ও অবস্থান: বাংলাদেশ এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশত সত্তর বর্গ কিলোমিটারের দেশ। উত্তরে ভাওয়াল ও মধুপুর গড়। দক্ষিণে বিস্তৃত বঙ্গোপসাগর এবং সুন্দরবন। পূর্বদিকে, আসামে সারি সারি এবং পাহাড়ের সারি আছে, ঠিক রক্ষীদের মতো। পর্বত, ভূমি, সমুদ্র, সমভূমি - এই সমস্ত বৈচিত্রের মাঝে প্রকৃতি এই দেশটিকে বিভিন্নভাবে অনন্য করে তুলেছে। সমুদ্রের গর্জন, পাহাড় ও বনের সবুজ স্নিগ্ধতা এই নদীমাতৃক দেশটিকে করেছে বৈচিত্র্যময় ও সুন্দর। সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দর গাছের জন্য বিখ্যাত। .এছাড়াও আছে বিশ্ব বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারস, চিত্রাল হরিণ, কুমির, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বানর, অজগর, সাপ-সবই সুন্দরবনে, বিভিন্ন রকমের ভয়ঙ্কর এবং সুন্দর সমাবেশ। বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চলের সৌন্দর্য: বাংলাদেশের দক্ষিণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত রয়েছে। ফেনিল সাগরের কেন্দ্রে অনেক দ্বীপ রয়েছে। সমগ্র সৈকতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেন্টমার্টিনের কোরাল দ্বীপটি সবচেয়ে সুন্দর শেত্তলাগুলির মধ্যে একটি। উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী দ্বীপবাসীরা সমুদ্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। যাইহোক, কখনও কখনও সমুদ্র শক্তিশালী আগ্রাসনে ভেসে যায়। তবুও এখানকার নির্ভীক মানুষগুলো নতুন আশায় পূর্ণ। সাগরের রুক্ষ wavesেউয়ে মাছ ধরার নৌকা আবার ডুবে গেল। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের সৌন্দর্য: পাহাড় এবং সবুজ তালু পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি বিশাল এলাকা জুড়ে। পাহাড়ি নদী ঘূর্ণায়মান পাহাড়ি পথ বরাবর প্রবাহিত হয়। আদিবাসীরা পাহাড়ের কাছে বাস করে। তারা প্রকৃতির সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। সিলেট অঞ্চলে ছয়টি ছোট ছোট পাহাড় রয়েছে। বাংলাদেশের পাহাড় বিভিন্ন সব বন্য প্রাণীর আশ্রয়স্থল। বাংলাদেশের গ্রামের সৌন্দর্য: বাংলাদেশ মূলত গ্রাম গ্রামকে বোঝায়। সীমিত সংখ্যক শহর বা শহরতলিকে বাদ দিয়ে গোটা দেশ গ্রাম সৌন্দর্যে ভরপুর। যতদূর চোখ সবুজ মাঠ দেখতে পায়, r। সেনালি শস্যের অপ্রত্যাশিত ঝুঁকি। হয়তো পথের পাশে একা দাঁড়িয়ে অথবা বিশাল বট বা ছাই গাছ ছায়া দিচ্ছে। গাছপালায় ঘেরা ছায়াময়, ছায়াময় ঘরগুলো ছায়াময়, নিরিবিলি। পুকুর, নদী, বিল বা হ্রদে জলের লিলি আছে। সন্ধ্যায় রাখাল গরু নিয়ে মাঠ থেকে ফিরে আসে। কৃষক বাড়ি ফিরে গেল। পাখিদের ফেরার পালা। চারপাশে একটি মহিমান্বিত সূর্য অস্ত যাচ্ছে। বাঁশ বাগানের মাথায় চাঁদ উঠছিল। .উঠোনে গাছের ছায়ায়, জোছনার জায়গায় বিভিন্ন আকার নেওয়া হয়। আলো এবং অন্ধকারের এক অসাধারণ খেলা। বাংলাদেশের নদীর সৌন্দর্য: অসংখ্য নদী ও উপনদী নদী বাংলার মাটিকে উর্বর করেছে। বাংলাদেশ হয়ে গেছে নদীবাহিত পলি। শস্য-সবুজ। প্রতিটি নদীর পানি বিভিন্ন রঙের। সারি সারি সারি সারি রঙিন পাল নদীর ধারে উড়ে বেড়ায়। সেই দৃশ্য আশ্চর্যজনক। বাংলাদেশের asonsতুর সৌন্দর্য: বাংলার হৃদয়ে ছয়টি asonsতু আবর্তনের খেলায় বৈচিত্র্যময় পসরা নিয়ে আসে। গ্রীষ্মে বাংলার প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যায় সুন্দর সবুজ শভা। গ্রীষ্মের কঠোরতার পরে, বর্ষাকাল মেঘলা দিন এবং মুষলধারে বৃষ্টি নিয়ে আসে। প্রকৃতিতে জীবন্ততা জাগ্রত হয়। ফুলের বন দোলায়, প্রকৃতির পরিচিত রূপ বদলায়। প্রবল বৃষ্টির কারণে মাঝে মাঝে বন্যা নেমে আসে। উজ্জ্বল নীল আকাশে সাদা মেঘের গুচ্ছ। শরৎ হায়াসিন্থ এবং কাজুদের সাদা হাসি নিয়ে আসে। শরৎকালে বাড়িতে ফসল হয়। গ্রামবাংলা নবান্ন উৎসবে পালিত হয়। শরতে প্রকৃতি শান্ত, কোমল। শীত বাতাসের সাথে আসে। ঘন কুয়াশার আড়ালে প্রকৃতি তার সব অলংকার ফেলে দেয়। অন্যদিকে, প্রকৃতি বিভিন্ন সবজি এবং রঙিন ফুলে পূর্ণ। বসন্তে প্রকৃতিতে দারুণ উত্তেজনা জাগে। গাছের কচি সবুজ পাতার কাঁপুনি আশেক, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া এবং শিমুলের ডালে লাল ফুলের আগুনের মতো। কোকিলের কুহুতান itতুরাজ বসন্তের আগমনের ঘোষণা দেয়। রাতের আকাশ কোটি তারায় ভরা। উপসংহার: বাংলাদেশের প্রকৃতির এই বৈচিত্র্যময় এবং অনন্য সৌন্দর্যের সৌন্দর্য এ দেশের মানুষের মনকে সৌন্দর্যের উপাসক, উদার, চিন্তাশীল এবং দেশপ্রেমিক করে তুলেছে। তাই কবি জীবনানন্দ দাশের মতে, আমরাও বলি: আমি বাংলার চেহারা দেখেছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজতে যাই না।

Post a Comment

أحدث أقدم