প্রবন্ধ লেখার কৌশল ১। মালা তৈরির জন্য যেমন আপনাকে বিভিন্ন ফুল সংগ্রহ করতে হবে, তেমনি একটি প্রবন্ধ রচনার জন্য আপনাকে বিভিন্ন চিন্তা ও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যখন একটি বিষয়ে একটি প্রবন্ধ লেখার সময়, এটি সম্পর্কে চিন্তা এবং তথ্য যা মনে আসে প্রথমে একটি সূত্র হিসাবে খসড়া করা হবে। বই, ম্যাগাজিন, শিক্ষক, অভিভাবক বা অন্য কারও সাথে প্রাসঙ্গিক কোণে আলোচনা করে তথ্য সংগ্রহ করুন। এগুলো তাইমার রচনা লেখার উপকরণ। মালা বানানোর সময় যেমন এক রঙের একটি ফুলকে অন্য রঙের সাথে মিলিয়ে নিতে হয়, তেমনি প্রবন্ধ লেখার সময় প্রবন্ধের একটি দিককে গুরুত্ব অনুযায়ী সাজাতে হয়। প্রবন্ধ লেখার আগে, তাইমা একটি সিরিজে সংকেত ব্যবস্থা করবে। 3. প্রবন্ধ লেখার একটি সাধারণ কাঠামো রয়েছে। এর তিনটি অংশ রয়েছে: ভূমিকা, প্রধান অংশ এবং উপসংহার। প্রবন্ধ লেখার সময় এই কাঠামো অনুসরণ করা প্রয়োজন।
অধ্যবসায়
ভূমিকা: কঠোর পরিশ্রম ও পরিশ্রম ছাড়া কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে কখনোই পৌঁছানো যায় না। এবং এই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথে মানুষ বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়। অধ্যবসায় হল এই বাধাগুলি অতিক্রম করা এবং কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের মাধ্যমে সাফল্য আনার গুণ। অধ্যবসায় কী: 'অধ্যবসায়' শব্দের অর্থ অবিরাম সাধনা। অধ্যবসায় হচ্ছে যেকোনো কাজে সফল হওয়ার জন্য মানুষের নিরন্তর প্রচেষ্টার নাম। অধ্যবসায় মানুষের চরিত্রের অন্যতম গুণ যা জীবনকে সুন্দর ও পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে। এই অনন্য গুণের সাহায্যে অসম্ভব অর্জন করা যায়। আসলে, অধ্যবসায় হল এক ধরনের মানসিক শক্তি। তার যত বেশি মানসিক শক্তি আছে, সে তত বেশি অধ্যবসায়ী। অধ্যবসায়ের পথে পরাজয় কখনো বাধা হতে পারে না। অধ্যবসায়ের গুরুত্ব: কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য, অধ্যবসায় এবং অটল সংকল্প অধ্যবসায়ের অংশ। মানুষের জীবনে সফলতা এবং ব্যর্থতা দুটোই আছে। কিন্তু সব ব্যর্থতা সাময়িক। ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে নিরন্তর প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ব্যর্থতার হতাশা কাটিয়ে উঠতে আরও উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। কারণ আপনি যদি অধ্যবসায় দিয়ে চেষ্টা করেন, দেরিতে হলেও সফলতা একদিন আসবেই। সেদিন, শৈব আগের ব্যর্থতার কলুষতা দূর করে সাফল্যের মুকুট পাবে। পৃথিবীতে যা কিছু মহান, যা কিছু সুন্দর, যা কিছু উপকারী তা অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অর্জন করা হয়েছে। অধ্যবসায় ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। পৃথিবীতে বাধা অতিক্রম করার শক্তি যত বেশি হবে, জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে তত বেশি সাফল্য এবং অধ্যবসায়: আজকের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। .তাই ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। অলস এবং পরিশ্রমী ছাত্ররা জীবনে কখনোই শিখতে পারে না। অধ্যবসায়ী শিক্ষার্থীরা সামান্য প্রতিভা থাকলেও সাফল্য অর্জন করতে পারে। যদি একজন ছাত্র তার প্রথম বা দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়, সে আর সফল হতে পারে না। একবার কোন শিক্ষার্থী কোন কোণায় ফেল করলে তার আবার চেষ্টা করা উচিত নয়, তার উচিত দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে আবার চেষ্টা করা। অধ্যবসায় এবং প্রতিভা: কঠোর পরিশ্রম এবং পরিশ্রমী সাধনা ছাড়া কোন সাফল্য অর্জন করা যায় না। শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য, গবেষণা সহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অধ্যবসায়ের উপর নির্ভর করে। প্রতিভা জন্মের সময় অর্জিত একটি বিশেষ গুণ। অধ্যবসায় মেধাকে তীক্ষ্ণ করে। আপনার প্রতিভা না থাকলেও, আপনি কেবল অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অনেক অসম্ভব জিনিস সম্ভব করতে পারেন। বিজ্ঞানী নিউটন অধ্যবসায়কে জিনিয়াসের চেয়ে বড় হিসেবে দেখেন। প্রতিভা বলে কিছু নেই, তিনি বলেছেন। আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করেন এবং সাধনা করেন, তাহলে আপনি প্রতিভা উপেক্ষা করতে সক্ষম হবেন। অধ্যবসায়ের উদাহরণ: অধ্যবসায়ের অন্যতম পরিচিত উদাহরণ স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রুস। ইংল্যান্ডের রাজা এডওয়ার্ডের সাথে যুদ্ধে তিনি ছয়বার পরাজিত হন। আশার রাজ্য ছেড়ে প্রায়, তিনি হঠাৎ পাহাড়ের একটি নির্জন গুহায় লক্ষ্য করলেন, একটি মাকড়সা গুহার দেয়াল বেয়ে উপরে উঠছে এবং পরপর ছয়বার ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু সপ্তমবার তিনি সফল হন। রবার্ট ব্রুস আবার দেখলেন। অত্যন্ত উৎসাহের সাথে সৈন্য সংগ্রহ করে এবং সপ্তমবারের মতো যুদ্ধে জয়লাভ করে। আবার, গোলার্ধের শাসক নেপোলিয়ন তার কর্মে একটি দুর্দান্ত উদাহরণ রেখে গেছেন। তিনি বলেন- 'অসম্ভব এমন একটি শব্দ যা শুধুমাত্র একটি বোকার অভিধানে পাওয়া যায়।' উপসংহার: জাতিকে সমৃদ্ধ করতে অধ্যবসায়ের কোন বিকল্প নেই। মানুষের জীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব তাই অনস্বীকার্য। প্রতিটি মানুষকে এই বিশেষ গুণের অধিকারী হতে হবে। এবং কেবল তখনই মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে, জাতীয় জীবনে, বিশ্ব সমাবেশে আরও অবদান রাখতে সক্ষম হবে। |
শৃঙ্খলা
ভূমিকা: সমগ্র বিশ্ব-প্রকৃতি একটি সু-নিয়ন্ত্রিত শৃঙ্খলা এবং নিয়ম দ্বারা আবদ্ধ। গ্রহ ও নক্ষত্রের আবর্তন, কক্ষপথ, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, seতু পরিবর্তন সবই নিয়মের অধীন। শৃঙ্খলা ও শৃঙ্খলা আছে বলেই মহাবিশ্বের সকল কার্যক্রম খুব সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। .মহাবিশ্ব অনুসারে, শৃঙ্খলা এবং শৃঙ্খলা মানুষের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম -কানুনের গুরুত্ব: মানুষ একটি সামাজিক জীব। তাই তারা একা থাকতে পারে না। পারস্পরিক সাহায্যের মাধ্যমে মানুষকে বাঁচতে হয়। সমাজে বসবাসের জন্য মানুষকে সকল সামাজিক নিয়ম -কানুন মেনে চলতে হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এবং সমিতি কোনো না কোনোভাবে নিয়মের অধীন। আইন -শৃঙ্খলার বিঘ্ন অশান্তি, নৈরাজ্য এবং পারিবারিক, সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় বন্ধনকে বাধাগ্রস্ত করে। শৃঙ্খলা ছাড়া কোন কাজই সঠিকভাবে করা যায় না। ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে উন্নতির জন্য শৃঙ্খলা ও শৃঙ্খলা প্রয়োজন। তাই সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক জীবনে; খেলার মাঠ, যুদ্ধক্ষেত্র, কারখানা, স্কুল -কলেজ সব জায়গায় নিয়ম -কানুন মেনে চলতে হবে। পারিবারিক জীবনে শৃঙ্খলা; যদি পরিবারের প্রতিটি সদস্য নিজের হয়। ইচ্ছেমতো চলে কিন্তু পরিবারের unityক্য নষ্ট হয়। সুখী ও সমৃদ্ধ পারিবারিক জীবনের জন্য শৃঙ্খলা অপরিহার্য। শৈশবে শৃঙ্খলা: প্রত্যেক ব্যক্তিকে শৈশব থেকেই শৃঙ্খলা শিখতে হয়। শিশুদের যদি তাদের খুশি মতো যেতে দেওয়া হয়, তাহলে তারা অপরাধবোধে নষ্ট হয়ে যাবে। সামাজিক জীবনে শৃঙ্খলা ও শৃঙ্খলা: সামাজিক জীবনে শৃঙ্খলা ও শৃঙ্খলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সফল এবং মহৎ ব্যক্তিরা খাদ্য, কাজ, চলাফেরা এবং আচার -অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। নিয়ম -কানুন বিঘ্নিত হলে সমাজ গঠিত হতো না এবং গঠিত হলেও তা আবার ভেঙ্গে যেত। .কারণ সমাজে সর্বত্র নিয়ম -কানুন আছে, আমরা সামাজিক জীবনে সুখে বসবাস করতে সক্ষম। ছাত্রজীবনে শৃঙ্খলা ও শৃঙ্খলা: ছাত্রজীবনে শৃঙ্খলা ও শৃঙ্খলার প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। খেলার সময় পড়া এবং খেলার সময় খেলা 'প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য অপরিহার্য। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থী যদি নিয়মিত স্কুলে যায়, সে নিয়মিত পড়াশোনা করলেই সে ভালো ফলাফল করতে পারবে। এবং যদি তারা পড়াশোনায় অশিক্ষিত হয় তবে তারা সফল হতে পারবে না। মহাপুরুষদের জীবনে শৃঙ্খলা ও শৃঙ্খলা: সক্রেটিস, প্লেটো, নিউটন, আইনস্টাইন এবং অন্যান্য জ্ঞানী ও গুণী ব্যক্তিরা জীবনে শৃঙ্খলা অলঙ্কৃত করেছিলেন। এজন্যই তারা পৃথিবীর সকল মানুষের আত্মার সাথে মিশে অমর হয়েছেন। উপসংহার: জীবনের সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা অপরিহার্য। শৃঙ্খলাহীন জীবন কখনই ভাল যায় না। এর জন্য আমাদের মানব জীবনের সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। তাহলে মানুষের জীবন হবে সুখী, সুন্দর এবং সফল ..
إرسال تعليق