দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের ভূমিকা: আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের দান অনস্বীকার্য। বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ ও সরল করেছে। এটি সমগ্র বিশ্বকে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। আমরা ঘরে বসে প্রতিটি মুহূর্তের খবর জানি। চিকিৎসা, কৃষি, মহাকাশ গবেষণা, পারমাণবিক শক্তি এবং সর্বোপরি মানুষের জীবনে অকল্পনীয় সাফল্য শুধুমাত্র বিজ্ঞান দ্বারা সম্ভব হয়েছে। প্রতিদিনের সঙ্গী: আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে চা বানানোর জন্য গ্যাস ব্যবহার করি। এই বায়বীয় পদার্থটি সিলিন্ডারের ভিতরে রাখা হয় যাতে এটি রান্নায় ব্যবহার করা যায়। যাই হোক, অন্তত আমি প্রথমে নিজেকে না বুঝিয়ে নিচে যাইনি। কিন্তু আমি যে লাইটার দিয়ে জ্বালিয়েছি তাও বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমাদের হাতে পৌঁছেছে। আমরা প্রতিদিন ঘরে যে আলো জ্বালাই তা এই আলোতে - বৈদ্যুতিক বাতি। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জগতে যে বিদ্যুৎ আকাশে ছিল তা নামিয়ে এনেছি। এভাবে বিজ্ঞান আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। অভিনব ব্যবহার: আমাদের বাড়িতে যে বৈদ্যুতিক পাখা চলছে, তা কি আমরা বিজ্ঞানের অবদান ছাড়া পাব? কিছু লোকের বাড়িতে এয়ার কন্ডিশনার আছে। বলা বাহুল্য, বিজ্ঞানও তা দিয়েছে। রেডিও, টেলিভিশন, ফ্রিজ, কম্পিউটারও আজ আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আমরা রেডিও পেয়েছি অনেক আগে। পরে এল টেলিভিশন এবং ফ্রিজ। টেলিভিশন আমাদের চোখকে আনন্দিত করে, প্রতিদিন আমাদের দৃষ্টি। শুধু থিয়েটার-সিনেমা নয়, তিনি আমাদের বাড়িতে বিজ্ঞানের নতুন তথ্যচিত্র নিয়ে আসছেন। আমরা বিছানায় বসে আফ্রিকার জঙ্গল দেখি। আমাদের জাগতিক প্রয়োজনে ফ্রিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ডিভাইসটি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সবজি, মাছ, ডিম এবং ওষুধের মতো তাজা রাখে। আমাদের রান্না করা খাবারও ভেতরে রাখা হয়। এটি আমাদের অতিরিক্ত শ্রম সাশ্রয় করে, জ্বালানি সাশ্রয় করে। কম্পিউটার আপনার হাতের তালুতে পৃথিবী নিয়ে এসেছে। নতুন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজ্ঞান; মোটর গাড়ি, মোটর সাইকেল ইত্যাদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ ও দ্রুততর করেছে। আমরা যে দুই চাকার সাইকেল ব্যবহার করছি তাও বিজ্ঞানের উপহার। .বিজ্ঞানের প্রযুক্তিগত জ্ঞান আমাদের তৈরি পাকা রাস্তার ভিতরেও কাজ করছে। টেলিফোন-টেলিগ্রাফ আজ আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আমরা বাড়িতে প্রতিদিন দূর -দূরান্ত থেকে যে চিঠিপত্র পাই তা বিজ্ঞানের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হতো না। কলম দিয়ে লেখাও সম্ভব হয়েছে যা আমরা সবসময় প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি। বিজ্ঞানের সাহায্যে। আমরা চলচ্চিত্র, থিয়েটার, পেইন্টিং-আর্কিটেকচার-ভাস্কর্য ইত্যাদি নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে অনেক বৈজ্ঞানিক উপকরণ নীরবে ব্যবহার করে আসছিবিদ্যুতের ক্ষেত্রে: বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে, কেউ আমাদের জন্য কতটা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তার একটি ধারণা পেতে পারে। .যদি বিদ্যুৎ না থাকে, ফ্যান কাজ করে না, ফ্রিজ বন্ধ থাকে, পাম্প কাজ করে না, এয়ার কন্ডিশনার অকেজো হয়ে যায়। বিদ্যুৎ তাদের সচল রাখে। এভাবে বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা আমাদের সেবা করে যাচ্ছে। .কৃষিতে, দৈনন্দিন গ্রামীণ জীবনে বিজ্ঞানের উপহার অফুরন্ত। যে কৃষক ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করছেন তিনি বিজ্ঞানের জ্ঞান ব্যবহার করছেন। এছাড়া রয়েছে উন্নতমানের সার। আমরা গাছের নিরাময় ও যত্ন নিতে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করছি। এতে বিজ্ঞানের জ্ঞানও রয়েছে। চিকিৎসা বিভিন্ন কাজে আমরা প্রতিদিন যেসব useষধ ব্যবহার করি তাতেও বিজ্ঞান অবদান রাখে। বলা বাহুল্য, বিজ্ঞান যত বেশি উন্নত, ততই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সেবক হয়ে ওঠে। উপসংহার: বিজ্ঞান দৈনন্দিন জীবনে সত্যিই আমাদের সেবক। এমন চাকর সহজে পাওয়া যায় না। হাজার হাজার টাকা দিলেও এমন অনুগত ভৃত্য কখনো মেলে না। বিজ্ঞান এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য অপরিহার্য
Tags:
প্রবন্ধ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন