প্রবন্ধ লেখার কৌশল আমার প্রিয় খেলা

আমার প্রিয় খেলা 

ফুটবল ভূমিকা: ফুটবল বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। ফুটবলে, খেলোয়াড় এবং দর্শক উভয়েই প্রচুর আনন্দ উপভোগ করে। এটি একটি খুব উত্তেজনাপূর্ণ খেলা। তাই এই গেমটি আমার প্রিয়। ফুটবল খেলার জন্ম: রামানরা প্রথম ইউরোপে ফুটবল আমদানি করে এবং ছড়িয়ে দেয়। মধ্যযুগে রমন খেলা ইউরোপে, বিশেষ করে ইতালিতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রথম ফুটবল ক্লাবটি ইংল্যান্ডের শেফিল্ডে 1850 এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে গঠিত হয়েছিল। এরপর ডেনমার্ক, ব্রাজিল। খেলাটি সোভিয়েত ইউনিয়নে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ফিফা 1940 সালের 21 শে মে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ফিফা কর্তৃক প্রবর্তিত আইন আধুনিক ফুটবলের জন্ম দেয়। .ইংরেজরাই প্রথম আমাদের দেশে ফুটবল আমদানি করেছিল। বর্তমানে। খেলাটি আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। খেলার নিয়ম: একজন রেফারি খেলা পরিচালনা করেন। তিনি বাঁশির সাহায্যে সংকেত শোনান। খেলোয়াড়রা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে মাঠে প্রবেশ করে। প্রতিটি দলে 11 জন খেলোয়াড় রয়েছে। মাঠের দুই প্রান্তে দুটি গ্যালপ আছে। প্রতিটি গ্যালপেস্ট মাটি থেকে আট ফুট উপরে। খেলার জন্য একটি চামড়ার বল এবং একটি সমতল মাঠ, দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থে 120 গজ এবং 60 গজ প্রয়োজন। খেলার শুরুতেই দুই দল মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল। পাঁচটি দলের প্রত্যেকের এগারো জন খেলোয়াড় মাঠের সামনে এসেছিলেন। তাদের এগিয়ে বলা হয়। তাদের পিছনে তিনটি হাফব্যাক এবং হাফব্যাকের পিছনে দুটি ফুলব্যাক রয়েছে। সবার পিছনে গ্যাল পেস্টের সামনে একজন গ্যাল গার্ড। পাঁচজন ফরোয়ার্ডের কাজ হল প্রতিপক্ষ দলকে আক্রমণ করা এবং গ্যালপাস্টে বল োকানো। অন্যদিকে ফুলব্যাক প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করে এবং গোলরক্ষককে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে। .ফুটবল খেলায় গোলরক্ষক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এক্ষেত্রে গোলরক্ষক সবসময় চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের বল গোলপেস্টে fromুকতে না দিতে। গলব্লাডার হাত, পা এবং শরীরের মাধ্যমে বল আটকে রেখে পিত্তথলি রক্ষা করতে পারে। কিন্তু অন্য খেলোয়াড়রা শুধু বলটি লাথি মারতে পারে। হাত স্পর্শ করতে পারে না। রেফারিকে সাহায্য করার জন্য দুইজন লাইনম্যান আছেন যারা খেলা পরিচালনা করেন। ফুটবল সাধারণত বিকেলে দেড় ঘণ্টা খেলা হয়। মাঝখানে দশ মিনিটের বিরতি দেওয়া হয়। প্রথমে বলটি মাঠের ঠিক মাঝখানে রাখা হয়। .রেফারি তারপর উভয় দলের টিম লিডারকে ডেকে সিদ্ধান্ত নেয় কোন দলটি প্রথমে লাথি মারবে। নির্ধারিত সময়ে রেফারির হুইসেলের শব্দ দিয়ে খেলা শুরু হয়। হ্যান্ডবল হল যখন বল একমাত্র গোলরক্ষক ছাড়া অন্য কারো হাতে থাকে। ফাউল হয় যখন কেউ কোন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে বিনা কারণে আঘাত করে। গালপেস্টের সামনে ডি-বক্সে ফাউলের ​​জন্য পেনাল্টি কিক দেওয়া হয়। তখন খেলোয়াড়কে গোলরক্ষক ছাড়া অন্য কোন কোণে আক্রমণ প্রতিহত করার অনুমতি দেওয়া হয় না। বলটি যখন গলপেস্টের ভেতর দিয়ে কোণায় প্রবেশ করে, তখন তাকে বলা হয় গ্যাল। যে দল সবচেয়ে বেশি স্কোর করতে পারে সে জিততে পারে। গোলের সংখ্যা সমান হলে খেলাটি ড্র হয়। উপকারিতা: অত্যন্ত উপভোগ্য এবং উত্তেজনাপূর্ণ ফুটবল খেলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দেহের সমস্ত অঙ্গ -প্রত্যঙ্গ যেমন এটি বারবার সম্পাদন করে, শরীরের প্রতিটি অঙ্গ -প্রত্যঙ্গ শক্তিশালী ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই গেমের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের মধ্যে শৃঙ্খলা এবং কার্যকলাপের জন্ম হয়। একসাথে কাজ করার মানসিকতা তৈরি হয়। সর্বোপরি, নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনে খেলাটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। .অসুবিধা: ফুটবল খেলারও অসুবিধা আছে। দীর্ঘ সময় খেলে স্বাস্থ্যের কোন উপকার হয় না বরং ক্ষতি হয়। এই খেলায় অনেক সময় হাত -পা ভেঙে যায়। দর্শকদের উত্তেজনার কারণে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে। উপসংহার: একটি পরিষ্কার, উপভোগ্য এবং উপকারী খেলা হিসেবে ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফুটবল ম্যাচ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকাপ ফুটবল এবং ওয়ার্ল্ড অলিম্পিক ফুটবল আন্তর্জাতিক খেলায় খুব জনপ্রিয়

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন