বাংলাদেশের পাখির প্রচলন: পাখির স্থান হল এই জিনিসগুলির মধ্যে একটি যা এই দেশের প্রকৃতিকে সুন্দর এবং সুন্দর করে তুলেছে। বিভিন্ন রঙ, আকৃতি এবং গানের পাখির কিচিরমিচির সঙ্গে এ দেশের প্রকৃতি মন্ত্রমুগ্ধ ও আনন্দময় হয়ে উঠেছে। পাখির ডাক শুনে এদেশের মানুষ জেগে ওঠে। এ দেশের সবুজ প্রকৃতি ও মানুষের জীবনের সঙ্গে পাখির সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। বাংলাদেশের পাখি: এ দেশে প্রায় 550 প্রজাতির পাখি দেখা যায়। এর মধ্যে 400 প্রজাতির পাখি এই দেশে বাস করে এবং বাকিরা বিভিন্ন দেশ থেকে আসে। দেশীয় পাখিরা এ দেশের বনে বাসা তৈরি করে এবং অতিথি পাখিরা শীতকালে দূর হিমালয় ও সাইবেরিয়া থেকে উড়ে যায়। যখন বসন্ত শেষ হয়, এটি তার সঠিক জায়গায় ফিরে যায়। শ্রেণীবিভাগ: বাংলাদেশের পাখিদের আকৃতি, প্রকৃতি, অবস্থান ও আচরণ অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন. পেসমানা পাখি: পেসমান পাখিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ময়না, টিয়া, কাকাতুয়া, শ্যামা ইত্যাদি। বি গান গাওয়া পাখি: বাংলাদেশের অন্যতম গায়ক পাখি, কোকিল একটি সুন্দর ও মিষ্টি সুরে গান গায়। d, জলজ পাখি: জলজ পাখির মধ্যে হাঁস, পানকৌড়ি, বক, বালি হাঁস, কাদাখোচা, গাঙচিল, চাকচাকি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। E. ঘর পাখি: কবুতর, চড়ুই, শব, টিয়া ইত্যাদিবাংলাদেশের কয়েকটি অতি পরিচিত পাখির সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপ: কাক: কাক পাখির মধ্যে সবচেয়ে ধূর্ত এবং মন্দ। তাদের মধ্যে অনেক unityক্য আছে। এর কণ্ঠস্বর কর্কশ। তারা রান্নাঘরের কাছে অবস্থান নেয় এবং সারাদিন গৃহকর্তাদের বিরক্ত করে। তাদের বিরক্তিতে তাদের লাঠি দিয়ে রোদে শস্য, মশলা বা খাবার পাহারা দিতে হয়। তবু কাক আমাদের বন্ধু পাখি। কারণ তারা পচা ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি খেয়ে প্রকৃতি পরিষ্কার রাখে যেখানে গলিত পদার্থ থাকে। কোকিল কোকিল দেখতে কাকের মতো কিন্তু আকারে কালো। কোকিলের সুন্দর কণ্ঠ মানুষকে জানিয়ে দেয়। কোকিল বসন্তে গান গায়। এজন্য কোকিলকে বসন্তের দূত বলা হয়। কোকিল একটি সুদর্শন পাখি নয়, এর গান এটি বিখ্যাত করেছে। কোকিল একটি মিষ্টি কণ্ঠ এবং শান্ত এবং নিরীহ স্বভাবের বৈশিষ্ট্যযুক্ত। ডিম পাড়ার সময় কাক বাসায় ডিম পাড়ে। দোয়েল: দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি। দোয়েল মিষ্টি গানের পাখি। তারা সারা বছর মিষ্টি সুর ডাকে। তবে বসন্তে প্রকৃতি হয়ে ওঠে তাদের মিষ্টি গানের কণ্ঠস্বর। .ডোয়েল সাধারণত বাগানবাড়ি বা বাড়ির আশেপাশের খোলা জায়গায় ঘাসের উপর বিচরণ করে। দোয়েলকে সারা বছর দেখা যায়। এটি আমাদের অতি পরিচিত পাখি। কবুতর: কবুতর বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় শিকারী পাখি। পেসা কবুতর অনেক রঙে আসে। যাইহোক, বিনামূল্যে পায়রা একই রঙের। এদের বলা হয় জালালী কবুতর। অনেকেই ঘরে কবুতর পালন করেন। ময়নাতদন্ত: ময়নাতদন্তকারী পাখি দেখতে খুব ভালো লাগে। কোকিলের মতে, ঠোঁট কালো কিন্তু হলুদ। তারা বেশিরভাগই পাহাড়ি এলাকায় বাস করে। ময়নাতদন্ত পাখিরা খুব সহজেই বুঝতে পারে এবং মানুষের ভাষায় স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে। টিয়া: টিয়া দেখতে খুব সুন্দর একটি পাখি। তারা খুব দ্রুত উড়তে পারে। তাদের গায়ের রং সবুজ, ঠোঁট কিছুটা লাল। দল যখন আকাশে বাঁধা থাকে তখন কিচিরমিচির বেশ ভালো লাগে। যদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অনেক তেতো মানুষের সাথে কথা বলতে পারে। বুলবুল: বুলবুলও গানের পাখি। বরই গাছ বা বাদাম গাছের ডালে বসে তারা একটানা গান করে। তাদের গায়ের রঙ কালো এবং বাদামী রঙের সাথে মিশে আছে। বাবুই ও চরাই: বাবুইকে শিল্পী পাখি বলা হয়। তারা খেজুর, খেজুর, বাবলা ও খেজুর গাছে বাসা তৈরি করে এবং নিজেদের দক্ষ কারিগর হিসেবে পরিচয় দেয়। তারা দলবদ্ধভাবে বাস করে। বাড়ির চালে চড়ুই বাসা, ছাদের কার্নিশে। শালিক শালিক আমাদের খুব কাছের একটি পাখি। এগুলো ছয় আকৃতির পাখি। তারা জোরে চিৎকার করে। চুপচাপ বসে থাকা তাদের স্বভাবের বিরুদ্ধে। কবুতর এবং কবুতর গ্রাম বাংলার সর্বত্র দেখা যায়। এর মানে হল যে পাখিটি সহজেই পার হতে পারে। তারা দেখতে যেমন সুন্দর, তাদের কণ্ঠও তেমনি আকর্ষণীয়। এরা গ্রুপ সাইজে মাঝারি ধরনের। তারা ঘন বাগানে বাস করে। ঘুঘু প্রেমে পড়েছে। চালটেচিল, ফ্যালকন এবং শকুন: সাহসী, উগ্র এবং প্রতিশোধমূলক তিনটি পাখি - ঘুড়ি, ফ্যালকন এবং শকুন। ঘুড়ি ও ফ্যালকন মাংসাশী পাখি। তারা সাধারণত মাছ শিকার করে এবং খায়। শকুনরা মাছও খায়, কিন্তু তারা মৃত গরু এবং মরা ছাগল খায়। উপসংহার: সবুজ প্রকৃতিতে স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠা সব পাখি আমাদের জীবনের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। পাখি আছে। বলুন সবুজ প্রকৃতি, নীল আকাশ, সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা
আমরা এটা খুব পছন্দ করি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন